কার্যক্রম
বর্তমানে অনুসন্ধিৎসু চক্র দেশজুড়ে বিজ্ঞান গণসাক্ষরতা অভিযান পরিচালনা করছে। এ অভিযানের অংশ হিসেবে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ক কর্মসূচী, শিক্ষা ব্যবস্থার পাঠক্রম মূল্যায়ন, ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর পরিচালনা, বিজ্ঞান মেলা ও বিজ্ঞান উৎসবের আয়োজন, বিজ্ঞান গ্রন্থমেলা আয়োজন, বিজ্ঞান গ্রন্থ ও পুস্তিকা প্রকাশ, কুসংস্কার বিরোধী প্রচার, বিজ্ঞানের ইতিহাস নিয়ে প্রদর্শনী, বিজ্ঞান চর্চা বিষয়ক জরিপ সারা দেশে পরিচালনা করছে। বিজ্ঞান গণসাক্ষরতা অভিযানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিজ্ঞান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। যা পরবর্তীতে সেমিনার ও আলোচনার মাধ্যমে দেশের জনগণের নিকট প্রকাশ করা হবে। এছাড়া বন্যা, শীতসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অনুসন্ধিৎসু চক্র তার সাধ্যমত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে।
অনুসন্ধিৎসু চক্রের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম:
১৯৭৬ সালে জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘরে অনুসন্ধিৎসু চক্র প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানমেলার আয়োজন করে। এই সূচনার পর ১৯৭৮ সাল থেকে সরকারীভাবে বিজ্ঞান মেলার আয়োজন হয়ে আসছে।
————————————————————–
১৯৮১ সালে ভারতের জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় অনুসন্ধিৎসু চক্র অংশগ্রহণ করে সম্মিলিতভাবে ২য় স্থান অধিকার করে।
————————————————————–
১৯৮৫ সালের নভেম্বর মাসের দিকে ঢাকা থেকে অনুসন্ধিৎসু চক্রের সদস্যরা প্রথম হ্যালির ধূমকেতু সনাক্ত করেন। ১৯৮৫/১৯৮৬ সালে হ্যালির ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ, চক্রের প্রচারের কারণেই ধূমকেতুটি দেখার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়।
————————————————————–
১৯৮৫ সালের দিকে দেশের সর্ববৃহৎ অ্যাস্ট্রোটেলিস্কোপ তৈরি করে চক্রের সদস্যরা।
————————————————————–
অনুসন্ধিৎসু চক্র নির্মিত দেশের প্রথম অবজারভেটরী
১৯৯০ সালে অনুসন্ধিৎসু চক্রের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মো: শাহজাহান মৃধা বেনুর নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের ছাদে নির্মাণ করা হয় বাংলাদেশের প্রথম অবজারভেটরী। ১৯৯০ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি এ অবজারভেটরী উদ্বোধন করা হয়।
————————————————————–
হিরণপয়েন্টে অনুসন্ধিৎসু চক্র পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ, ১৯৯৫
১৯৯৫ সালের ২৪ অক্টোবর সুন্দরবনের হিরণপয়েন্টে অনুসন্ধিৎসু চক্র, বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদ ও বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনের সাথে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করে। ২০০জনেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন এই ক্যাম্পে।
————————————————————–
আন্ত:স্কুল সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা
১৯৯৬ ও ১৯৯৭ সালে আন্ত:স্কুল সা:জ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
১৭ ও ১৮ নভেম্বর, ১৯৯৮ তারিখে গাজীপুর ও সিলেটের শায়েস্তাগঞ্জে প্রায় ৮০০ উল্কাপাতের পর্যবেক্ষণ করে চক্রের সদস্যরা।
————————————————————–
অনুসন্ধিৎসু চক্রের রজতজয়ন্তী, ২০০০
অনুসন্ধিৎসু চক্রের রজতজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমন্ডলে (২০০০)।
——————————————————————-
সাইন্স ক্লাব এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্ক্যাব) গঠন
দেশের বিজ্ঞানক্লাবগুলোকে একত্রিত করে বড় প্লাটফর্মে নেয়ার লক্ষ্যে সাইন্স ক্লাব এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্ক্যাব) গঠনে অনুসন্ধিৎসু চক্র অগ্রণী ও প্রধান ভুমিকা রাখে। বিজ্ঞান ক্লাবগুলোর ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ে স্ক্যাব গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে (১৯৯৯-২০০০)।
————————————————————–
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে সৌরঘড়ি নির্মাণ, ২০০১
২০০১ সালে অনুসন্ধিৎসু চক্রের উদ্যোগে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে শাহজাহান মৃধার অর্থায়ন ও পরিকল্পনায় সৌরঘড়ি নির্মাণ করা হয়।
————————————————————–
বিজ্ঞান গণস্বাক্ষরতা অভিযান: ২০০২ সাল হতে অনুসন্ধিৎসু চক্র দেশব্যাপী বিজ্ঞান গণস্বাক্ষরতা অভিযান পরিচালনা করছে। এর আওতায় পরিচালিত হচ্ছে বহুমুখী কার্যক্রম। এর অন্যতম কার্যক্রম হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর পরিচালনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান উৎসব, আকাশ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প, বিজ্ঞান বিষয়ক বইমেলা, কুসংষ্কাররোধী প্রচারণা, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক ক্যাম্প ও প্রচারণা ও বিজ্ঞান বক্তৃতা।
ভ্রাম্যমাণ বই মেলা বিজ্ঞান আলোচনা
————————————————————-
দেশ জুড়ে মঙ্গল গ্রহ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প, ২০০৩
৬০ হাজার বছরের মধ্যে ২৭ আগস্ট,২০০৩ পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহ খুব কাছাকাছি আসে। এই উপলক্ষে অনুসন্ধিৎসু চক্র, বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি ও অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে ১৪ আগস্ট ২০০৩ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৩ পর্যন্ত দেশ জুড়ে মঙ্গল উৎসব উদ্যাপিত হয়। এই উৎসবে অন্তর্ভূক্ত ছিল মঙ্গল ও জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত আলোচনা, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে মঙ্গল গ্রহ সংক্রান্ত বিভিন্ন ভিডিও প্রদর্শনী, মুক্ত আলোচনা এবং টেলিস্কোপে মঙ্গল পর্যবেক্ষণ। যে ১১টি জেলা শহরে উৎসবগুলো অনুষ্ঠিত হয় সেগুলি হচ্ছে- ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, যশোহর, সিলেট, কুমিল্লা, চাঁদপুর, গাজীপুর ও নওগাঁ। কেন্দ্রীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয় বুয়েট মাঠে। উপরোক্ত এগারটি জেলা শহর ছাড়াও অন্য আরোও ১০টি স্থানে মঙ্গল পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। উৎসব উপলক্ষে একটি ওয়েব সাইট খোলা হয়।
————————————————————–
বিমান উড্ডয়নের একশ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুসন্ধিৎসু চক্রের পক্ষ থেকে ১৬ ডিসেম্বর,২০০৩ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বিমান উড়ানো হয়। অনুষ্ঠানে চক্রের বাংলাদেশ এ্যারোমডেলার্স শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রশিক্ষণ বিমানের মডেল বিশ্লেষণ করেন। প্রায় শ’দেড়েক লোক বিমানের উড্ডয়ন পর্যবেক্ষণ করেন।
————————————————————–
৮ জুন,২০০৪ তারিখে অনুসন্ধিৎসু চক্র বিভিন্ন জেলায় শুক্র গ্রহের ট্রানজিট পর্যবেক্ষণের জন্য ক্যাম্পের আয়োজন করে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয় গাজীপুরের বাঘের বাজারে।
————————————————————–
সিংপাড়া উল্কাপিন্ড: ২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশের ঠাকুরগাওয়ের সালন্দর ইউনিয়নের সিংপাড়া গ্রামে পতিত উল্কাপিন্ডটি সংগ্রহ, প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রধান ভূমিকা রাখে অনুসন্ধিৎসু চক্র ।
————————————————————–
কর্কটক্রান্তি দিবস: ২০০৭ সাল থেকে অনুসন্ধিৎসু চক্র চারপাশের প্রকৃতি ও প্রতিবেশের বিভিন্ন ঘটনার প্রতি সাধারণের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি এবং এগুলোর বিজ্ঞানসম্মত কারণ অনুসন্ধানে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে দেশে প্রতি বছর ২১ জুন কর্কটক্রান্তি দিবস বা সামার সোলসটিস (বছরের দীর্ঘতম দিন) পালন করে আসছে। ২০১২ সালের ২১ জুন তারিখে বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশের উপর দিয়ে চলে যাওয়া কর্কটক্রান্তি রেখার বর্তমান অবস্থা জানতে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গায় যান । এছাড়া প্রতিবছর দিবসটিতে চক্রের শাখাগুলো আয়োজন করে পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প সহ নানা কার্যক্রম।
————————————————————–
আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ,২০০৯
আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ,২০০৯ উপলক্ষে অনুসন্ধিৎসু চক্রের উদ্দ্যোগে ও নকশায় বাংলাদেশ ডাকবিভাগ থেকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত জ্যোতির্বিজ্ঞান ও গ্যালিলিওর উপর দুটি ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম প্রকাশিত হয়। ১৯ জুলাই,২০০৯ ঢাকার জিপিওর মহাপরিচালকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই ডাকটিকিট দুটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রকাশনা উৎসবে ডাকটিকিট দুটি অবমুক্ত করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। প্রকাশনা উৎসবে মাননীয় মন্ত্রী সহ জ্যোতির্বিদ ও অনুসন্ধিৎসু চক্রের প্রাক্তন সভাপতি ড. এ আর খান, চক্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান শাখার সভাপতি জনাব শাহজাহান মৃধা বেনু এবং বাংলাদেশ ডাকবিভাগের মহাপরিকচালক মহোদয় বক্তব্য দেন।
————————————————————–
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, ২০০৯: অনুসন্ধিৎসু চক্রের উদ্দ্যোগে ২২ জুলাই,২০০৯ তারিখে দেশের মোট ১৪টি স্থানে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। তন্মধ্যে পঞ্চগড় জেলা স্টেডিয়ামে দেশের কেন্দ্রীয় ক্যাম্পটি আয়োজন করা হয়। পঞ্চগড় জেলা স্টেডিয়ামে প্রায় ৩০০০০ লোকের সমাগম ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে এটি এখন পর্যন্ত দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান আয়োজন। এখানে অত্যাধুনিক ৮ ইঞ্চি মিডক্যসিগ্রাইন টেলিস্কোপ ও প্রজেক্টরের সাহায্যে সূর্যগ্রহণ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও একটি সোলার টেলিস্কোপের সাহায্যেও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালানো হয়। আন্তর্জাতিক ভাবে সূর্যগ্রহণ সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা ও তথ্য সংরক্ষণের কাজে এই ক্যাম্প থেকে তোলা ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা শহরের কেন্দ্রীয় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প । এই ক্যাম্পে প্রায় ১০০০০ লোকের সমাগম ঘটে। এছাড়া ৬৩টি স্কুলে সূর্যগ্রহণ উৎসব অনুণ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংসদ ভবন ক্যাম্প, ঢাকা
————————————————————–
বলয়গ্রাস সুর্যগ্রহণ,১৫ জানুয়ারি, ২০১০: অনুসন্ধিৎসু চক্রের উদ্দ্যোগে মোট ৮ টি স্থানে পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। এসকল ক্যাম্পে প্রায় ১৫০০০ মানুষ সরাসরি সূর্যগ্রহণ দেখার সুযোগ পায়। কেন্দ্রীয় ক্যাম্প হয় কক্সবাজার ও ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার প্রাঙ্গনে। কেন্দ্রীয় ক্যাম্পগুলোতে আলো ও তাপমাত্রার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ, বিজ্ঞানের বইমেলার আয়োজন করা হয়।
————————————————————–
প্রাণবৈচিত্র্য বিষয়ক কার্যক্রম: বাংলাদেশের প্রাণবৈচিত্র্য নিয়ে সেমিনার ২২ জুন, ২০১০ তারিখে ঢাবির আই আই টি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এই সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত পরিবেশবিদ ও প্রাণীবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. কাজী জাকের হোসেন। প্রাণবৈচিত্র্য সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ৪০০০ পুস্তিকা বের করা হয়েছে।
————————————————————–
৬জুন, ২০১২ তারিখে অনুসন্ধিৎসু চক্র বিভিন্ন জেলায় শুক্র গ্রহের ট্রানজিট পর্যবেক্ষণের জন্য ক্যাম্পের আয়োজন করে। ঢাকার কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয় মতিঝিল সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে। ঢাকার বাইরে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঠাকুরগাও জিলা স্কুল মাঠ, বরিশালে পরশ সাগর মাঠে অনুসন্ধিৎসু চক্রের উদ্দ্যোগে পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
মতিঝিল সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে শুক্র গ্রহের ট্রানজিট পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প
————————————————————–
ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ: ২০১৩ সালের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসব্যাপী অনুসন্ধিৎসু চক্রের সদস্যরা বহুল আলোচিত ধূমকেতু ISON ট্র্যাকিং চালিয়ে যান এবং বাংলাদেশ থেকে প্রথম এটি সনাক্ত করতে সক্ষম হন। এছাড়া ধূমকেতুটির ছবি তোলার মাধ্যমে এস্ট্রোফটোগ্রাফি করা হয় ও পর্যবেক্ষণের দলিল রাখা হয়। একই সময়ে অনুসন্ধিৎসু চক্রের ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ দলের সদস্যরা ৮” ইঞ্চি মিড প্রতিফলক টেলিস্কোপ দিয়ে ধূমকেতু Lovejoy ধূমকেতুটি খুঁজে পান। সদস্যরা সেই দূরবিন ও ক্যামেরা দিয়ে লাভজয় ধূমকেতুটির ছবি তোলেন।
————————————————————–
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশেষায়িত সম্মেলনে অনুসন্ধিৎসু চক্রের অংশগ্রহণ:
৬-৯ ডিসেম্বর,২০১১ তারিখে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ১৮তম এশিয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক স্পেস এজেন্সী ফোরামের (APRSAF) সম্মেলনে অনুসন্ধিৎসু চক্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের অংশগ্রহণ করে। জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের সহসভাপতি ড.মাকসুদা আফরোজ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে ‘Grass-root level astronomy in Bangladesh and Anushandhitshu Chokro’s Contribution’ শীর্ষক পেপার উপস্থাপন করেন।
————————————————————–
১১-১৪ ডিসেম্বর, ২০১২ তারিখে মালয়েশিয়ার কয়লালামপুরে অনুষ্ঠিত ১৯তম এশিয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক স্পেস এজেন্সী ফোরামের (APRSAF) সম্মেলনে অনুসন্ধিৎসু চক্র অংশগ্রহণ করে। জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের সহসভাপতি ড. মাকসুদা আফরোজ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে চক্রের পক্ষে দুইটি পেপার উপস্থাপন করেন। তার একটি হচ্ছে ‘Importance of Space Technology and its Usage to Monitor Rivers and Understand the System Better’ ও অপর পেপারটি ছিলো বাংলাদেশের স্পেস ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক কার্যক্রমের উপর একটি কার্ন্টি রিপোর্ট।
————————————————————–
৪ ও ৫ জানুয়ারি, ২০১৩: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ’’ দক্ষিণ এশিয়ার পানি সম্পদ: বিরোধ থেকে সহযোগিতা ’’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অনুসন্ধিৎসু চক্র অংশগ্রহণ করে। সম্মেলনটির আয়োজক ছিলো বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক।
——————————————————————-
অনুসন্ধিৎসু চক্র ২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের সভায় অংশগ্রহণ করে। সেখানে চক্রের পক্ষ থেকে A Pilot Astronomy project in Bangladesh শীর্ষক পোস্টার প্রদর্শিত হয়।
———————————————————————————————————
প্রকল্প নির্মাণ:
অনুসন্ধিৎসু চক্রের কার্যক্রমের একটি উল্লেখযোগ্য স্থান জুড়ে আছে বিজ্ঞান প্রকল্প নির্মাণ, বিজ্ঞানের তথ্য-সূত্রগুলোকে নিজের হাতে পরীক্ষা নিরীক্ষা। অনেক ভারি বা দামী জিনিস ব্যবহার না করে দেশীয় হাতের কাছে যা পাওয়া যায তাই দিয়ে প্রকল্প তৈরিতে গুরুত্ব দেয়া হয়। নিয়মিত প্রকল্প কর্মশালার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
চক্রের বিভিন্ন শাখার সদস্যরা জাতীয় ও বেসরকারী পর্যায়ের বিজ্ঞানমেলায় নিয়মিত পুরষ্কৃত হয়ে আসছে।
——————————————————————–
অনুসন্ধিৎসু সম্মাননা:
দেশে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে স্মরণীয় অবদানের জন্য, বিজ্ঞান ক্লাব আন্দোলনে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অবদান রাখার জন্য কর্মের স্বীকৃতি স্বরুপ অনুসন্ধিৎসু সম্মাননা প্রদান করা হয়।
———————————————–
গ্রন্থাগার:
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘সত্যেন বসু গ্রন্থাগার’ অবস্থিত।